আজ মঙ্গলবার, ১৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মেয়র প্রার্থী বাদশা ও তার সমর্থকদের উপর হামলা,ভাংচুর

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ওসির সামনে মেয়র প্রার্থী দেওয়ান আবুল বাশার বাদশা ও তার সমর্থকদের উপর হামলা করেছে অপর প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ও তার সমর্থকরা । গতকাল সোমবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলা মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। এসময় মেয়র প্রার্থী রফিক ও তার লোকজন বাদশা ও তার সমর্থকদের অবরুদ্ধ করে রাখে। রূপগঞ্জ থানার অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এসময় রফিক ও তার লোকজন উত্তেজিত হয়ে উপজেলা মিলনায়তনের দরজা ভাংচুর করে।
আগামী ২৬ জুন কাঞ্চন পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে, ১০ জুন প্রতিক বরাদ্দের দিন নির্ধারন করা হয়। বেলা ১১ টার দিকে মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র রফিকুল ইসলাম তার প্রস্তাবকারী ও সমথককারী নিয়ে সামনের আসনে বসে। এর কিছুক্ষন পরে আরেক মেয়র প্রার্থী আবুল বাশার বাদশা তার প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীকে নিয়ে মিলনায়তন ভবনে প্রবেশ করেন। এসময় রিটানিং অফিসার ও নির্বাচন কর্মকর্তা দুই মেয়র প্রার্থীকে পাশাপাশি চেয়ারে বসতে বলেন। পরে বাদশা রফিকের পাশের চেয়ারে বসার জন্য একজনকে উঠতে বলেন তখন রফিক রাগান্বিত হয়ে বাদশাকে কিলঘুষি মারতে আসে। একই সাথে রফিক সমর্থকরা বাদশা ও তার সমর্থকদের টার্গেট করে পেছন থেকে চেয়ার ছুড়ে মারেন। এতে বাদশা আহত হয় তার চশমা ভেঙ্গে যায়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের লোকজনেরর মধ্যে পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এব্যাপারে মেয়র প্রার্থী দেওয়ান আবুল বাশার বাদশা বলেন, রফিক তার সমর্থক নিয়ে সামনের চেয়ারগুলো দখল করে রাখছিলো বিশৃঙ্খলা করার জন্য। একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। পরে ঠিক হয়ে গেছে। আমরা নির্বাচনের আচরণ বিধি মেনে চলবো।
অপর মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, আপনারা ভিডিও ফুটেজ দেখে আমার যদি দোষ হয় আমাকে আইনের কাঠগরায় দাঁড় করাবেন। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।
এব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি দিপক চন্দ্র সাহা বলেন, প্রতিক বরাদ্দের সময় লোকজন কিছুটা উত্তেজিত হয়ে উঠেছিল। আমরা পরে তাদের শান্ত করি। তবে নির্বাচণে এমন ঘটনা ঘটলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ইস্তাফিজুল ইসলাম বলেন, আমার সামনে দুই পক্ষের সমর্থকদের লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠেছিল। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক। আমি উভয় পক্ষকে প্রথমবারের মত সাবধান করে দিয়েছি। পরবর্তীতে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।